করোনা নামক একটি নতুন নামের সঙ্গে আমরা জাতিধর্মবর্ণ–নির্বিশেষে পরিচিত হয়েছি। আমরা সবাই হয়তো বুঝতে পারছি না, কীভাবে মোকাবিলা করব এই কঠিন পরিস্থিতির। শিশু থেকে বৃদ্ধ, সব বয়সী মানুষই এই পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করছি। যার প্রভাব পড়ছে আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর। পরিবর্তন ঘটছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায়। বড়রা নিজেদের পরিবর্তনগুলো বুঝতে পারলেও শিশুরা খাপ খাওয়াতে পারছে না।
ফলে সব বয়সী মানুষকেই আতঙ্ক বা ভয় কিছুটা হলেও কাবু করেছে। যারা আগে থেকেই মানসিক রোগে আক্রান্ত, তাদের ক্ষেত্রে এর মাত্রা অনেক গুণ বেড়ে গেছে।
শিশুদের মধ্যে প্রধানত দুশ্চিন্তা, বিষণ্নতাসহ বিভিন্ন আচরণগত সমস্যা হয়। শিশুরা তাদের উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা, উৎকণ্ঠা বড়দের মতো করে প্রকাশ করতে পারে না। ফলে সহজেই অস্থিরতা, রাগ, বিরক্তি, ভয় পাওয়া, ঘুমের সমস্যা ইত্যাদি শিশুদের মধ্যে দেখা যায়।
শিশুরা বড়দের পাশাপাশি টিভি দেখছে, ইন্টারনেটে নানা কিছু দেখছে বটে, কিন্তু তারা অনেক তথ্য বুঝতে পারছে না। ফলে উদ্বেগ বেড়ে যাচ্ছে ওদের। তাই মা–বাবা অথবা পরিবারের অন্য বয়স্ক মানুষ বয়স উপযোগী এবং সহায়ক মনোভাব নিয়ে বিষয়গুলো আলোচনা করলে তাদের বুঝতে সহজ হবে এবং উদ্বেগের মাত্রা অনেক কমে যাবে।
তা ছাড়া পরিবারের কেউ বা আশপাশে কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে শিশুরা অনেক বেশি ভয় পেয়ে যাচ্ছে। শিশুদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা ও অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছে।